যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0778 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপস হ্রাস পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত নতুন খবরের প্রভাবে ডলারের দর বৃদ্ধি পায়। গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার মাধ্যমে গাড়ি আমদানির ওপর 25% শুল্ক আরোপ করা হয়, যা বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলেছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত ট্রেডারদের বিশেষভাবে চমকে দেয়নি, তবে এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, ট্রেডাররা অনিশ্চয়তার সময়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ অ্যাসেট হিসেবে বিবেচিত ডলারের দিকে বিনিয়োগ স্থানান্তর করেছে। অপরদিকে, ইউরোপের অর্থনীতি — বিশেষ করে গাড়ি শিল্প — এই বাণিজ্য শুল্কের কারণে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
আজ ট্রেডারদের দৃষ্টি ইউরোজোনের M3 মানি সাপ্লাই এবং প্রাইভেট সেক্টরে ঋণ প্রদানের পরিমাণ সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদনের দিকে থাকবে। অর্থনীতিবিদ এবং বিনিয়োগকারীরা এই সূচকগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, যেগুলো এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে প্রাইভেট সেক্টরের ঋণ প্রদানের প্রবণতা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই ঋণের পরিমাণ হ্রাস পেলে সেটি সাধারণত ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং ভোক্তা চাহিদা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়। যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং পরিবারগুলো ঋণ গ্রহণে আরও সতর্ক হয়ে ওঠে, তখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যায় এবং স্বল্পমেয়াদে ইউরোর দরপতন হয়।
এছাড়া ট্রেডাররা ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যটিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। মুদ্রাস্ফীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির পদক্ষেপ নিয়ে তার যেকোনো মন্তব্য EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উপর এবং সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাসের ইঙ্গিতের পর, যদি তিনি আর্থিক নীতিমালার আরও নমনীয়করণের কোনো ইঙ্গিত দেন — তাহলে তা ইউরোর অতিরিক্ত বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0827-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0795-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0827-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0772-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0795 এবং 1.0827-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0772-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0740-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0795-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0772 এবং 1.0740-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।