দিনের দ্বিতীয়ার্ধে আমি যে লেভেলগুলোর কথা উল্লেখ করেছিলাম, সেগুলোর কোনো টেস্ট হয়নি, ফলে আমি কোনো ট্রেড ওপেন করতে পারিনি। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থা, যা এখন প্রায় এক মাস পূর্ণ করার পথে, মার্কিন ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আজ ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক শুরু হচ্ছে — এমন প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি ট্রেডারদের মার্কিন সক্রিয় ডলার ক্রয় করতে নিরুৎসাহিত করছে, বিশেষ করে সম্প্রতিক সময়ে ফেড কমিটি সদস্যদের পক্ষ থেকে আসা মন্তব্যে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিতের পটভূমিতে। এছাড়া, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিও গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক উত্তেজনা, যা ট্রাম্প ও শি-র আসন্ন বৈঠকের পর কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
আজ শুধুমাত্র জার্মানির GfK কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচকের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই সূচকটি অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, তবে ভোক্তা আস্থা সূচকের ওঠানামা ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। এই সূচকটির মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জার্মানির ভোক্তাদের আস্থার মাত্রা এবং তাদের ব্যয় করার প্রবণতা নিরূপণ করেন। স্বাভাবিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ভোক্তাদের মনোভাব বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে — কারণ এটি জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ দিকরেখা নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করে। আজকের GfK থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মূলত নির্ভর করবে প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তার ওপর। যদি প্রকাশিত ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হয়, তবে ইউরোর মূল্য স্বল্পমেয়াদে বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যদিকে, নেতিবাচক ফলাফল ইউরোকে আরও চাপের মুখে ফেলতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা ১ ও ২ বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দিবো।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1703-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1672-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1703-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1653-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1672 এবং 1.1703-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1653-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1622-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1672-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1653 এবং 1.1622-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
