সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুভমেন্টের কারণগুলো EUR/USD পেয়ার সংক্রান্ত নিবন্ধে আলোচনা করা বিষয়গুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। আশ্চর্যজনকভাবে, দিনভর ডলারের দরপতনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছিল না। পাশাপাশি, ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে এটি বলা সঠিক হবে না যে মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল ওপেন করা শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা গ্রহণ করেছে।
সাধারণভাবে, আমরা এ ধরনের মুভমেন্টের সময়ে ট্রেডিংয়ে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিই না, যা প্রায়ই ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক চলাকালীন সময়ে ঘটে থাকে। এই সময়গুলোতে মার্কেটের ট্রেডাররা সাধারণত আবেগের ভিত্তিতে ট্রেড করে, যা মুভমেন্টগুলোকে অযৌক্তিক করে তোলে এবং টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলে। সংক্ষেপে, এই ধরনের পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট নিয়ে জটিল প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমরা এখনও মনে করি যে মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে, পাউন্ডের মূল্য এখনো সেনকৌ স্প্যান বি লাইন অতিক্রম করেনি, যার মানে 4-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। আমরা অবাক হব না যদি এই পেয়ারের মূল্য আজকের শেষ নাগাদ পূর্ববর্তী লেভেলে ফিরে আসে—সোমবারের আগে যে লেভেলগুলোতে এটি ছিল। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত সমস্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, তবুও পাউন্ড খুব বেশি দরপতনের শিকায় হয়নি। বৈশ্বিক বিষয়গুলো, যেমন ফেড এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি, এখনও ডলারকে সমর্থন করছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, গতকাল বেশ কার্যকর একটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য ক্রিটিক্যাল লাইন থেকে রিবাউন্ড করে প্রায় 35 পিপস কমে যায়। তবে, মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, যার ফলে ব্রেকইভেনে স্টপ লসের সাথে ট্রেড ক্লোজ হয়েছে। 1.2237–1.2255 রেঞ্জে আরেকটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটি কার্যকর করার সুযোগ ছিল না, কারণ মূল্য খুব দ্রুত উপরের দিকে চলে যায় এবং এর পেছনে কোনো মৌলিক কারণ ছিল না।
COT রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। রিপোর্টে লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা নির্দেশ করে, প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করছে। বর্তমানে, এই লাইনগুলো পরস্পরের কাছাকাছি রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই পেয়ারের লং এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা প্রায় সমান রয়েছে।
সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, মূল্য প্রথমে 1.3154 লেভেল ব্রেক করে ট্রেন্ড লাইনের দিকে নেমে আসে এবং তারপর এটি সফলভাবে ব্রেক করে। এই ট্রেন্ড লাইনের ব্রেকের বিষয়টি পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার উচ্চ সম্ভাবনা নির্দেশ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 700টি বাই কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 13,300টি সেল কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে। এর ফলে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে 12,600 কন্ট্রাক্ট হ্রাস পেয়েছে, যা পাউন্ডের জন্য নেতিবাচক।
মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, দীর্ঘমেয়াদে ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য এখনও কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। বৈশ্বিক ভিত্তিতে পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, নেট পজিশনের সংখ্যা আরও হ্রাস পেতে পারে, যা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের চাহিদা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, সামগ্রিকভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করছে, যেখানে নতুন কারেকটিভ মুভমেন্ট আগেরগুলোর মতো দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে, মাঝে মাঝে টেকনিক্যাল কারেকশনের প্রয়োজন ছাড়া ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। এই পরিস্থিতি প্রতিটি সপ্তাহেই ধারাবাহিকভাবে দেখা যাচ্ছে— প্রথমে দুর্বল কারেকশন হচ্ছে এবং এর পরে উল্লেখযোগ্য দরপতন হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনও $1.1800 লেভেলের দিকে মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
২১ জানুয়ারিতে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2052, 1.2109, 1.2237-1.2255, 1.2349, 1.2429-1.2445, 1.2511, 1.2605-1.2620, 1.2691-1.2701, এবং 1.2796-1.2816। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি (1.2336) এবং কিজুন-সেন (1.2230) লাইনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল প্রদান করতে পারে। মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ২০ পিপসের মুভমেন্ট প্রদর্শন পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস অর্ডার সেট করা উচিত, যাতে ভুল সিগন্যালের কারণে সম্ভাব্য লোকসান থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।
মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যা সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। আজ মূলত টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের উপর এই পেয়ারের ট্রেডিং নির্ভর করবে।